চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) সামগ্রিকভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), যুক্তরাজ্য, কানাডা ও নতুন বাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানি বাড়লেও কমেছে যুক্তরাষ্ট্রে।
পোশাক রপ্তানি
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ৪৪৯ কোটি মার্কিন ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এ তথ্য জানিয়েছে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)।জানা গেছে, আগের বছরের ফেব্রুয়ারির তুলনায় এটি ১৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ বেশি। দেশের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো ফেব্রুয়ারিতে এত তৈরি পোশাক রপ্তানি হলো।
দেশে প্রথমবারের মতো একক মাস জানুয়ারিতে প্রায় পাঁচ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য বিশ্লেষণ করে সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) এ তথ্য জানিয়েছে পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ।
গত কয়েক মাস ধরেই বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি কমছে। উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে যুক্তরাষ্ট্রের খুচরা বিক্রেতা ও ব্র্যান্ডগুলো বাংলাদেশ থেকে পোশাক কেনা কমিয়ে দিয়েছে।
রপ্তানি খাতের বিভিন্ন পণ্যে নেতিবাচক ধারা থাকলেও পোশাক রপ্তানিতে ইতিবাচক ধারা অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশ। চলতি বছরের ১১ মাসে শুধু পোশাক খাতেই প্রায় ৪৩ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এটি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪ দশমিক ৩৫ শতাংশ বেশি।
শ্রম অধিকার নিয়ে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার (স্যাংশন) হুমকির মধ্যে বাংলাদেশের প্রধান দুই বাজার ইউরোপ ও আমেরিকায় পোশাক রপ্তানি কমেছে। এর মধ্যে শুধু যুক্তরাষ্ট্রে চলতি বছরের পাঁচ মাসে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় পোশাক রপ্তানি কমেছে ০.২০ বিলিয়ন ডলার বা ২০০ মিলিয়ন ডলার।
নিট পোশাক রপ্তানিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বাজারে চীনকে টপকে শীর্ষে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় পোশাক শিল্প মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ।
চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত চার মাসে ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) ৭.৬ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৩.৯৯ শতাংশ বেশি।
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক বেশি দামে কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে এইচ এন্ড এম, গ্যাপের মতো বৈশ্বিক ব্র্যান্ডের ক্রেতারা। সম্প্রতি দেশে মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে পোশাক কর্মীদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ এবং তাদের অধিকারের প্রতি সমর্থন জানাতে এই পদক্ষেপ নিয়েছে এক হাজারের বেশি ব্র্যান্ডের প্রতিনিধিত্বকারী যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক আমেরিকান অ্যাপারেল অ্যান্ড ফুটওয়্যার অ্যাসোসিয়েশন (এএএফএ)।
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) ২০৩০ সাল নাগাদ ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পোশাক রপ্তানির যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে, তা অর্জন করতে বাংলাদেশের ডেনিম রপ্তানি দ্বিগুণ করতে হবে।